ঢাকার সাভারে কয়েকটি সড়ক ও মহাসড়কের দুপাশ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে পথচারী, পরিবহন চালকসহ এলাকাবাসী ভুগছেন শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে।
সাভারে প্রতিদিন বাসাবাড়ি, শিল্পকারখানা ও হাসপাতালের ময়লা-আবর্জনা সড়ক-মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ঢাকা, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে সাভারের আমিনবাজার ও আশুলিয়ার শ্রীপুরে।
আমিনবাজার থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত প্রায় ৮ থেকে ১০টি স্থানে দিনে গড়ে দুই শতাধিক ট্রাকে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এর অর্ধেকই ঢাকা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আবর্জনা।
এতে নবীনগর-চন্দ্রা এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ময়লার স্তূপ ছাড়িয়ে ছোট পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছালে আবর্জনার স্তূপে আগুন ধরিয়ে তা নিবারণের চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্টরা।
পথচারীরা জানান, দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না। অনেক সময় বমি চলে আসে। ময়লা পোড়ালে ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া আরও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। নিশ্বাস নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
ময়লা-আবর্জনার রমরমা বাণিজ্য থাকায় প্রভাবশালীরা এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সরেজমিন জড়িতদের সঙ্গে কথা বললে অর্থের বিনিময়ে ময়লা ফেলার কথা অকপটে স্বীকার করেন তারা।
পরিবেশবিদরা বলছেন, আধুনিক ডাম্পিং জোন গড়ে তোলা না হলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের চরম অবনতি ঘটবে। আর প্রশাসন বলছে, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট স্থানে আধুনিক ডাম্পিং জোন গড়ে তোলা হবে।
সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রহিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দূষিত পরিবেশে মানুষের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ডাম্পিং জোনের জন্য জায়গার খোঁজ করা হচ্ছে। শিগগিরই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারব বলে আশা করছি।