করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে সীমিত আকারে চালু হচ্ছে গণপরিবহন। এরইমধ্যে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বিমান ভাড়ার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।
ভাড়া বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লা রুটে বাস বা মিনিবাস চলাচলের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২০১৬ সালের ৩ মে প্রজ্ঞাপনমূলে উল্লেখিত বিদ্যমান ভাড়ার (যাত্রীপ্রতি কিলোমিটার সর্বোচ্চ ১.৪২ টাকা) ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলো।
এতে দেখা যাচ্ছে, ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বাস ভাড়া প্রায় বিমান ভাড়ার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম এসি বাসের ভাড়া ছিল সর্বোচ্চ ১২৫০ টাকা। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে সেটি বেড়ে দাঁড়াবে ২০০০ টাকা। অথচ ১ জুন থেকে সর্বনিম্ন ২৫০০ টাকায় ঢাকা থেকে বিমানে ওঠে চট্টগ্রামে যেতে পারবেন যাত্রীরা।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও এয়ারলাইন্সগুলোর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ জুন থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইটগুলো চলবে এক সিটে যাত্রী ও এক সিট ফাঁকা রেখে অর্থাৎ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে।
এদিকে বাস-মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কম যাত্রী নিয়ে বাস-মিনিবাস পরিচালনার জন্য মালিকদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি জনগণের ওপর না চাপিয়ে সরকারি প্রণোদনার আওতার্ভুক্ত করারও দাবি জানিয়েছে সিসিএস।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিসিএস এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ এ দাবি জানিয়ে বলেন, কোভিড-১৯ এর মধ্যে সাধারণ মানুষের উপার্জন কমেছে। লাখ লাখ মানুষ কর্ম ও আয়হীন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চালডালসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে। বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের খড়গও সইতে হচ্ছে জনসাধারণকে। ইতিমধ্যে বহু বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া বৃদ্ধির যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তা জনসাধারণের ওপর মারাত্মক জুলুম ও অবিচারের সামিল।