সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি: শাশুড়ীর মানত পূরণের জন্য হাতির পিঠে চড়ে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আজমপুর গ্রামে বিয়ে করতে গেলেন তৌফিক মিয়া (২৫) নামে এক বর। একই সঙ্গে ঘোড়ায় চড়ে ছুটছিলেন বরযাত্রীরা। এমনই এক ব্যতিক্রমধর্মী চিত্রের দেখা মিলেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে।
শুক্রবার বিকালে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট নামক স্থানে দেখা যায়-হাতির পিঠে চড়ে বর ও ঘোড়ার পিঠে চড়ে বরযাত্রীদের বিয়ে করতে যাওয়ার চিত্র।
জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আজমপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে পিংকি আক্তার (২০)। মেয়েটির জন্মলগ্নে তার মা মানত করেছিলেন আল্লাহ মেয়েকে বাঁচিয়ে রাখলে বর আনবে হাতির পিঠে করে। তাই সেই মানত পালন করতেই আজ কনের মা বর আনতে হাতি পাঠিয়েছেন উপজেলার খেজমতপুর গ্রামে।
এ গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে তৌফিক মিয়ার (২৫) সঙ্গে আজ পিংকি আক্তারের বিয়ে অনুষ্ঠান হয় ধুমধামে। তাই এ বিয়ে করতে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাঠানো হাতিতে চড়ে বিয়ে করতে যান তৌফিক। এ বিয়েতে বরের পক্ষ থেকে যাত্রীদের জন্য নেয়া হয়েছে আরও ২০টি মাইক্রোবাস। মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বে এ বিয়ে করতে যেন রাজকীয়ভাবে ছুটছিলেন তারা।
আধুনিক যান্ত্রিক যুগে যানবাহন ব্যবহার না করে বিয়েতে এমন ব্যতিক্রমধর্মী হাতি ও ঘোড়া বাহন হিসেবে ব্যবহার করায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হাতির পিঠে বর, ঘোড়া পিঠে বরযাত্রী দেখে উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছিল সড়কে।
কনের বাবা আশরাফুল ইসলাম জানান, স্ত্রীর মানত পূরণে বরকে আনতে হাতি ভাড়া করা হয়। আর বরের ভগ্নিপতিদের জন্য ঘোড়া। যৌতুকবিহীন এ বিয়ে আজ রাতেই সম্পন্ন করা হয়।
ধাপেরহাট এলাকার কলিম উদ্দিন (৭৫) নামের এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, আগের দিনে রাজা-বাদশারা হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে গেছেন। এই এলাকায় হাতির পিঠে চড়ে বর যাওয়ার দৃশ্য এই প্রথম চোখে পড়ল।