স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা জেলার বালাসিঘাট এবং জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদঘাট ঘাটের মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালুর দাবিতে আজ সোমবার বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করে গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চ। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাইবান্ধা-বালাসি সড়কের ফুলছড়ি উপজেলার বালাসিঘাট টার্মিনাল এলাকায় এই কর্মসুচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে মঞ্চের সদস্যরা গাইবান্ধা- বালাসি সড়কে দাঁড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় তারা ফেরিঘাট চালুর দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের জ্যেষ্ঠ সদস্য ওয়াজিউর রহমান। বক্তব্য দেন, নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসকে মজিদমুকুল, ময়নুল ইসলাম, জেলা সিপিবির সভাপতি মিহির ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ ও সাধারন সম্পাদক জিয়াউল হক, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কয়েকবছর আগে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং বর্তমান সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গাইবান্ধার বালাসিঘাট এলাকায় জনসভা করেন। জনসভার দিন বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমাতে এবং উত্তরাঞ্চলের সাথে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করার লক্ষে বালাসিঘাট থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর বিআইডাব্লিউটিএ ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বালাসিতে টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণ করে। কিন্তু বিআইডাব্লিউটিএ ড্রেজার মেশিন দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন না করে হঠাৎ করে তারা(বিআইডাব্লিউটিএ) এক প্রতিবেদনে জানান এই পথে আর ফেরি চালু করা সম্ভব নয়। সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় এই ফেরি রুটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বক্তরা আরও বলেন, বালাসিঘাট থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু না করার জন্য একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল। আজ তা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বক্তারা আরও বলেন, কাদের স্বার্থে এই প্রকল্পটি বন্ধ করা হচ্ছে? এই বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ অপপচয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। আগামি দশ কার্যদিবসের মধ্যে বালাসিঘাট থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু করা না হলে হরতালসহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।